শাহাজাদ ইসলাম ডেস্ক রিপোর্ট
![]() |
ছবি একুশে ট্রিবিউন |
ঠাকুরগাঁও জেলা শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রাত্রিকালীন চলাচলের সুবিধার জন্য স্থাপন করা হয় সোলার স্ট্রিট লাইট।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের (টিআর কাবিটা) অর্থায়নের এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৫০টি করে স্থাপন করা হয়েছিল আধুনিক সোলার স্ট্রিট লাইট, যা রাস্তাঘাটে রাতে আলোকসজ্জা নিশ্চিত করে পথচারীদের চলাচল সহজ করে তোলে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই সোলার লাইট চুরি, নষ্ট হয়ে যাওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ফলে রাতে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন পৌরসভার রাস্তাঘাট, বাসস্ট্যান্ড, হাটবাজার,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, বাজার ও ইউনিয়ন সড়কগুলোর পাশে লাগানো লাইটগুলো একে একে নিভে গেছে। অনেক স্থানে লাইটের প্যানেল ও ব্যাটারি চুরি হয়েছে, আবার কোথাও কোথাও বাতিগুলো নষ্ট হয়ে মাসের পর মাস পড়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, লাইট বসানোর সময় ভেবেছিলাম রাতে চলাচল নিরাপদ হবে। কিন্তু এখন অন্ধকারে চুরি-ছিনতাইয়ের ভয়ে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঢোলারহাটে দোকানদার নুর জামাল বলেন বাতিগুলো ছয় মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। কেউ দেখভাল না করায় খুঁটি সোলার লাইট চুরি হয়ে গেছে অনেক জায়গায়। পুনরায় চালু হলে জনগণ উপকৃত হবে।
একাধিক পথচারী জানান, রাতের বেলায় অন্ধকার রাস্তায় চলতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
চুরি যাওয়া সোলার প্যানেল এর ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন জানায় ,যারা চুরি করছে সম্ভবত তারা তো স্থানীয় লোকজনই তাহদের সুবিধার জন্যই তো এসব লাইট স্থাপন করা হয়েছে তারা যদি সচেতন না হয়, এটা তো প্রসাশনের একার পক্ষে এটি রক্ষা করা সম্ভব নয়।
স্ট্রিট সোলার লাইটগুলো সচল করার উদ্যোগের কথা জানান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমরা নতুন করে এগুলো সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং যেগুলোর বাতি নষ্ট হয়েছে, সেগুলোতে নতুন করে লাইট লাগানো হবে।”
স্থানীয়দের মতে, এগুলো ঠিকঠাকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরায় চালু করা গেলে গ্রামের মানুষ আবারও রাতে নিরাপদ চলাচলের সুবিধা পাবেন।
❝আপনি আপনার মতামত দিন, অবশ্যই ভালো রুচিশীল মন্তব্য করুন 🙂 ধন্যবাদ ❞