রুহিয়ায় গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করতে স্বামীর নির্দেশ, অস্বীকৃতি জানানোয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন

রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: 

ছবি একুশে ট্রিবিউন 


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার অন্তর্গত ভেলারহাট জুগিপাড়া গ্রামে গর্ভবতী স্ত্রীকে ভ্রূণ হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মিঠুন রানা'র বিরুদ্ধে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাথী আক্তার স্বামীসহ ৪ জনকে আসামি করে রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মিঠুন রানা ২নং আখাননগর ইউনিয়নের ভেলারহাট জুগিপাড়া এলাকার জামাল এর ছেলে। 


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাথী আক্তার গর্ভধারণের পর থেকেই তার স্বামী মিঠুন রানা সন্তান চাচ্ছিলেন না। তার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য সাথী আক্তার কে প্রচুর টর্চার করত। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাথী আক্তার জানান, আমার স্বামী যখন আমাকে বারবার হুমকি প্রদান করে তখন আমি নিরুপায় হয়ে আমার শশুর বাড়িতে চলে আসি। এখানে আমার শশুর বাড়ির লোকজন আমাকে দেখে এলোপাথারি ভাবে মারপিট, কিল-ঘুসি দেওয়া শুরু করে। আমি আমার সন্তানের প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তারা বরবর আমার উপর হামলা চালায়। আমার গর্ভের শিশুর প্রাণ বাঁচানোর জন্য আমি সকল মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিকট সাহায্য চাই। যেন আমার এই নবজাত সন্তানটি ভালোভাবে এই দুনিয়াতে আসতে পারে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, পরিবারটি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হলেও এভাবে একটি নিষ্পাপ ভ্রূণের প্রাণ নিতে চাপ দেওয়া এবং তাতে রাজি না হওয়ায় নারীর উপর নির্যাতন মানবতাবিরোধী আচরণ।


 ভুক্তভোগী নারী স্বামীর বাড়ির পাশে পাকা রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বর্তমানে ওই নারী শারীরিকভাবে অসুস্থ। খবর পেয়ে রুহিয়া থানাধীন একদল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ঘটনা স্থানে গেলে, স্থানীয় এলাকাবাসীর সহ ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খলিল বিএনপি'র দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে সাংবাদিকদের উপর অসৎ আচরণ করেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ ধরনের ঘটনায় আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি, যাতে নারীর নিরাপত্তা ও গর্ভস্থ শিশুর অধিকার সুরক্ষিত থাকে।

 মিঠুন রানার পিতা জামাল ও মাতা পারুলের সাথে কথা বললে তারা সাংবাদিকদের সাথে অসৎ আচরণ করেন। এ বিষয়ে মিঠুন রানার সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও সে কল রিসিভ করেন নি।


রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নাজমুল কাদের বলেন, অভিযোগ পত্র হয়তো আমার ডিউটি অফিসারের হাতে দিয়েছে। এখনো আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। অভিযোগ পত্রটি হাতে পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ঠাকুরগাঁও 

 ১২/০৭/২০২৫ ইং

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.