দিনাজপুর রেলওয়ে শ্রমিক রাজনীতিতে বহুরূপী চরিত্র!

মোঃ জাহিদ হোসেন দিনাজপুর 

ছবি একুশে ট্রিবিউন 


  • অনুসন্ধান সিরিজ ০১

আওয়ামী ঘনিষ্ঠ পরিচয় থেকে ‘শ্রমিকদলীয়’ ছদ্মবেশে  আলম হোসেনকে ঘিরে প্রশ্নের ঝড়


দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরীণ শ্রমিক রাজনীতিতে উদ্ভট মোড়।

এক সময় আওয়ামী ঘনিষ্ঠ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা আলম হোসেন বর্তমানে শ্রমিকদলের ব্যানারে প্রকাশ্যে আসছেন—এই অবস্থান ঘিরে রেল শ্রমিকদের মাঝে তৈরি হয়েছে তীব্র বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ।


স্থানীয় সূত্র ও রেল শ্রমিকদের অভিযোগ অনুযায়ী, আলম হোসেনের রাজনৈতিক পরিচয় বারবার পাল্টেছে সুবিধা নেওয়ার প্রয়োজনে।


বিশেষ করে একটি তথ্য ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—আলম হোসেন দিনাজপুর রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কমিটিতে “তৃতীয় নম্বর সহ-সভাপতি” ছিলেন, যার তালিকা ও আলোকচিত্র এখন সামনে এসেছে।

এই প্রমাণপত্রই দেখিয়ে দিচ্ছে তাঁর অতীত রাজনৈতিক অবস্থান কোন বলয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।


সেই ব্যক্তি এখন শ্রমিকদলের পরিচয়ে নিজেকে নেতৃত্বে তুলে ধরছেন—যার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রেলওয়ে অভ্যন্তরে সক্রিয় কর্মী ও পর্যবেক্ষকরা।


একজন অভিজ্ঞ রেলকর্মী বলেন—


কমিটির তালিকায় তাঁর নাম ছিল, সেটি এখনও অনেকের কাছে রয়েছে। এখন তিনি শ্রমিকদল করছেন বলেই কি পুরনো পরিচয় মুছে যাবে?”


অন্য একজন যোগ করেন যে লোকটা আওয়ামী প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, এখন শ্রমিকদলের নেতা সেজে ঘুরছেন—এটা সরাসরি প্রতারণা।”


বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে বারবার রঙ বদলের এমন ঘটনা শ্রমিক রাজনীতিকে দুর্বল করে দেয়। এতে প্রকৃত শ্রমিক নেতারা পিছিয়ে পড়ে, আর সুবিধাবাদীরা সংগঠনকে ব্যক্তিগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।


দিনাজপুরের সচেতন মহল দাবি তুলেছে, এ ধরনের বহুরূপী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।

কারণ শ্রমিকদের অধিকারের নামে ভুল নেতৃত্ব ভবিষ্যতে আন্দোলনের ধারাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।


স্বার্থপর নেতৃত্বের মুখোশ উন্মোচন জরুরি


দিনাজপুর রেলওয়ে শ্রমিক রাজনীতিতে আলম হোসেনের ভূমিকা আজ প্রশ্নের মুখে।

একাধিক পরিচয়ের আড়ালে তাঁর স্বার্থপর অবস্থান প্রমাণিত হচ্ছে বিভিন্ন নথি ও তথ্যচিত্রে।


এখন সময় এসেছে—শ্রমিক সংগঠনকে ব্যক্তিগত স্বার্থের হাতিয়ার বানানো এই ধরনের বহুরূপী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাজ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের।

না হলে প্রকৃত নেতৃত্ব হারিয়ে যাবে, আর ঘুরপাক খাবে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি ও অধিকার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.