সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন, জি বাংলা খ্যাত " ফুলকি"(দিব্যানী মন্ডল)।



আজ ২২শে অক্টোবর মঙ্গলবার, প্রিন্স রহিমুদ্দিন লেনের সংযোগ স্থলে, ঘড়িকাঁটার গলির মধ্যে, সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করল টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব, ২১ আগস্ট সোমবার, সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন , জি বাংলা ধারাবাহিক খ্যাত " ফুলকি" যাহার ডাকনাম দিব্যানী মন্ডল, ফিতে কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জালনের মধ্য দিয়ে প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করলেন, 


এরপর ক্লাবের তরফ থেকে "ফুলকি" কে উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক , স্মারক হাতে দিয়ে, বাংলার মিষ্টি তুলে দেন। 


উপস্থিত ছিলেন জি বাংলা ধারাবাহিক খ্যাত "ফুলকি" এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সম্পাদক সমীর কুমার সাহা, ছোট্টু লাল সাউ, সভাপতি রঞ্জিত সিং, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ রাজীব চক্রবর্তী, পার্থ সাউ, 

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, মিতা সিং, আরাধ্যা সাহা , শ্যামল দাস, সুবীর সাহা, সারণ্য সাহা, শনি সাউ, সিমরন সাউ, সিদ্ধার্থ সাউ ,সঞ্জয় সাউ ,শংকর ব্যানার্জি, বুলা ব্যানার্জি , সন্দীপ রায় ,রাজীব চক্রবর্তী সহ অন্যান্য সদস্যরা। 


সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে, ফুলকি সকলকে শুভ দীপাবলীর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানালেন, আর তার অভিনীত সিরিয়ালটি সবার আশীর্বাদে জনপ্রিয় উঠেছে, জাতে আরো এগিয়ে যেতে পারে তার আশীর্বাদ চাইলেন কালী মায়ের সামনে, সকলের আশীর্বাদ নিয়ে যেন আরো ভালো কাজ করতে পারে। তাহার সাথে সাথে টালীগঞ্জ বয়েজ ক্লাবকে অশেষ ধন্যবাদ জানালেন, এরকম একটি পুজো মণ্ডপে আমন্ত্রণ করার জন্য। ফুলকি জানালেন, নিজেও কালীমা ভক্ত, কালী মায়ের চরণে আসতে পেরে তিনি নিজেকে আরো বেশী ধন্য মনে করেছেন। 


টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের প্রতিমার বিশেষত্ব হলো সাবেকী আনায় "শ্যামা মা" যে মাকে ফুল ও ফলের মালা পরিয়ে পূজিত হয়, দীর্ঘ ৫০ বছর এই নিয়ম মেনেই পূজো করে আসছেন, নিষ্ঠার সহিত আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন, রীতি নীতি মেনে এই পুজো চলে। ব্রাহ্মণ মহাশয়ের মন্ত্র পাঠ এবং আরতির মধ্য দিয়ে নৃত্যের তালে তালে মাকে আহ্বান করেন, এই আরতি দেখার জন্য ভিড় জমে ওঠে। শুধু তাই নয়, উপলক্ষে প্রতিদিন চলে এক একটি করে অনুষ্ঠান, অংকন প্রতিযোগিতা, বস্ত্র বিতরণ, ভোগ বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীর কে আনন্দ দেন।


শুধু পুজোর মধ্য দিয়েই চুপ থাকেন না, বিভিন্ন সামাজিক কাজও করে থাকেন সকলকে সাথে নিয়ে। 

 ক্লাবের যে দুই সদস্যকে হারিয়েছেন তাদের মধ্যে একজন ঁ সৌমেন্দ্রনাথ সাহা অপরজন হলেন সঞ্জয় রায়, তাদের অকাল প্রয়াণে শোকাহত, তাই ক্লাবের অনুষ্ঠান মঞ্চে তাদের ছবি রেখে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।


তবে যে দুটো কথা না বললে নয়, টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব শ্যামা মাকে ফলের মালা পরিয়ে আজও পুজো করে আসছেন। 

আরেকটি হলো, সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে সাথে নিয়ে এই পুজোকে একটু একটু করে আগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসা কামনা করেন, যে স্থানে পুজো হয় বেশির ভাগটাই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন, কিন্তু পুজোর সময় হলেই সবাই একতা হয়ে পুজোকে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যান, 


ক্লাবের উদ্যোক্তা সমীর কুমার সাহা বলেন, আমি কি করছি এটা বড় কথা নয়, বড় কথা আমরা ভাই ভাই ও বোন বোন মিলে ও এলাকার সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই পুজোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, এটাই আমার কাছে বড় পাওনা। পূজোয় কি করলাম, কি দিলাম এটা কখনোই মেটার করে না, সবার সহযোগিতা পেলে কোন কাজ আটকায় না, তাই সকলের সহযোগিতা পাওয়ায় আজ সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ করলাম। শুধু এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সবকিছু হয় না, যদি মিডিয়া বন্ধুরা এই পুজোকে সবার সামনে তুলে না ধরতেন, তাহলে কেউ জানতো না এইরকম একটি পরিবেশ ও জায়গার মধ্যে,এতো সুন্দর পূজো হয়, যেখানে ফলের মালা পরিয়ে শ্যামা মায়ের পূজো হয়।, তাই অশেষ ধন্যবাদ সকল সংবাদ মাধ্যমকে। আমাদের পুজোকে সারাদেশে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য , ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবো এলাকার সকল অধিবাসীকে, আজ সকলের সহযোগিতায় বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছি, আশা করছি আগামী দিনে আরো ভালো কাজ করতে পারবো, এইভাবে আমাদের পাশে এলাকাবাসী থাকলে। আর সকল দর্শক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে জানাবো আপনারা আসুন প্রতিমা দর্শন করুন। সবাইকে শুভ দীপাবলীর প্রীতি শুভেচ্ছা জানাই। ‌ সবাই ভালো থাকুন, দীপাবলীর আলোবাজী আলোর রসনায় থেকে ছোটদের সাবধানে রাখুন,


আর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষেও বেশ কয়েকটা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন টালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাব। 


রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.