ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহারে১০ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান পালন

ক্যহলাচিং মারমা খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:



ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির জেলা সদরের সুদুঅং মেম্বার পাড়ায় রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহারে ১০ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে দায়ক-দায়িকাদের আয়োজনে দিনব্যাপী এ ধর্মীয় উৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থী অংশ নেন। পঞ্চশীল গ্রহণ শেষে সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পানীয় দান, বুদ্ধমূর্তি দান, চীবর দান, কল্পতরু দানসহ নানাবিধ দান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।

 অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৌদ্ধ শিশু ঘর বিহারে এময় বিহারাধ্যক্ষ সুমনা মহাথের।

এসময় পন্যার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্মদেশনা দেন সুদুঅং মেম্বার পাড়ায় রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহারে বিহারঅধ্যক্ষ ভদন্ত কওয়ৈদা থের, ভদন্ত বিচারা ভান্তে, ভদন্ত পামোক্ষা থের প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে সুদুঅং মেম্বার পাড়ায় রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি সভাপতি থুইলাউ মারমা, আরো ছিলেন মিলন মারমা, মংসানু মারমা , রিপ্রুচাই মারমা,রত্ন বিমা বৌদ্ধ বিহারে বিহার পরিচালনা কমিটি নেতৃবৃন্দ, গ্রামবাসীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পূণ্যার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তার প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি, রং, বয়ন ও সেলাই সম্পন্ন করে ভিক্ষু সংঘকে বিশেষ পরিধেয় বস্তু দান করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর এ ধর্মীয় উৎসবকে 'কঠিন চীবর দান' হিসেবে পালন করে আসছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.