ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক গৃহবধূ।
আশংকাজনক অবস্থায় গৃহবধূকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের বড়দেশ্বরী আশ্রয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
স্বামী আলী আক্তার ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নির্যাতন সইতে না পেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আলী আক্তার (৩৫) একজন দিনমজুর হয়েও প্রথম স্ত্রী শাহনাজ ও সন্তান রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী জহুরা বেগমকে অর্থের লোভে বিয়ে করে। এ ঘটনার পর পরই গলায় ফাঁস দেওয়া ওড়না আগুনে পুড়ে দেয় দ্বিতীয় স্ত্রী। আশংকজনক অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তাদের মধ্যে বুধবার বিকাল পর্যন্ত ছেলে রাব্বির জ্ঞান ফিরলেও মেয়ে ইলমা ও মায়ের জ্ঞান ফেরেনি।
শুক্রবার একটু সুস্থ্য হলেই শাহনাজ বেগমকে হাসপাতাল থেকে লুকিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে আলী আক্তার।
প্রতিবেশীরা জানান, আলী আক্তার তার প্রথম স্ত্রী শাহানাজ বেগম বেগমের (৩২) তেমন খোঁজখবর রাখতেন না। সম্প্রতি স্বামী আরেকটি বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী ও তার দুই সন্তানের ভরণপোষণও দিচ্ছিলেন না আলী আক্তার। তারা আরও বলেন প্রথম স্ত্রী একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার সরকারি ভাতা এবং কর্মসূচির বেতন তোলার মোবাইল সীমটিও দ্বিতীয় স্ত্রীর কথামত ছিনিয়ে নেন স্বামী । এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার আলী আক্তার তার প্রথম স্ত্রী শাহানাজ বেগমকে বেদম মারধর করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে রুহিয়া থানার ওসি তদন্ত আল মামুন জানান, এ বিষয় এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে এই রকম ঘটনা অবশ্যই অপত্যাশিত। তিনি বলেন উপজেলা প্রশাসন এ বিষয় শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
❝আপনি আপনার মতামত দিন, অবশ্যই ভালো রুচিশীল মন্তব্য করুন 🙂 ধন্যবাদ ❞