সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
![]() |
প্রতিকি ছবি |
দিরাই উপজেলার শুকরনগর গ্রামে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর হাত,পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পরিবার বাদী হয়ে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামী রফিকুল ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করেছে দিরাই থানা পুলিশ।
তার পিতার নাম মৃত মোক্তার আলী । সে পৌরসভার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিমের পিতা জানান, সোমবার বিকেলে তিনি তার প্রয়োজনীয় কাজে ব্রাক অফিসে যান তার স্ত্রীও বাড়িতে ছিলেন না । ঐ দিন তার মেয়ে বাড়িতে একা ছিল ।সন্ধ্যায় তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে তুলসী গাছে ধূপবাতি দেখানোর জন্য ঘর থেকে বেড় হলে এসময় অভিযুক্ত রফিকুল তাদের ঘরে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে। তার পর মেয়ে ঘরে আসলে তার হাত,পা বেঁধে ধর্ষণ করে।সে সময় ভিকটিমের মা বাড়িতে আসলে রফিকুল তাকে কিলঘুষি মেরে পালিয়ে যায়। পরে বাসায় এসে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে দিরাই উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকা জনক অবস্থায় মেয়েটিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।
এদিকে থানা পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়,প্রায় পনের বছর আগে উপজেলার সরমঙ্গল গ্রাম থেকে বখাটে রফিকুলের পরিবার পৌর এলাকায় বসতি স্থাপন করে। পিতৃহীন রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকেই বখাটে জীবন যাপন করে আসছে। তার যন্ত্রনায় পাড়া প্রতিবেশি অতিষ্ট হয়ে ওঠে।
দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, এঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী রফিকুলকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকালে ধর্ষণ মামলার আসামী রফিকুল ইসলামকে (২৫) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
❝আপনি আপনার মতামত দিন, অবশ্যই ভালো রুচিশীল মন্তব্য করুন 🙂 ধন্যবাদ ❞