ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
প্রতীক ছবি |
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানায় পৃথক স্থানে ২ জন আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়নের ছুট খড়ি বাড়ি গ্রামের মৃত রঞ্জিত রায়ের ছেলে কৃষ্ণ রায় (২৮) একই ইউনিয়নের মাধবপুর (জোতপাড়া) গ্রামের সইফুল ইসলামের ছেলে লিমন ইসলাম(১৮)।
গত ১১ জুলাই নববিবাহিত কৃষ্ণ রায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তৎক্ষনাৎ পারিবারের লোকজন ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল(১৫ জুলাই) মারা যায় ।
সকালে আত্মহত্যার ঘটনা দুইটি ঘটে।
অপরদিকে লিমন ইসলাম শারিরিক অসুস্থতা জনিত কারনে নিজ শয়ন ঘরের বাঁশের সড়ের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মৃত কৃষ্ণ রায়ের ছোট ভাই শান্ত রায় জানান, কৃষ্ণ একটি ইট ভাটায় চাকরি করতেন। গত ১০ জুলাই তার বিয়ে হয় এবং বউ নিয়ে আসার পরের দিন সবার অজ্ঞাতে গ্যাস ট্যাবলেট খায়, চিকিৎসা চলাকালীন গতরাতে হাসপাতালে মারা যায়।
এদিকে মৃত লিমন ইসলামের পিতা সইফুল ইসলাম জানান, আমার ছেলের বয়স যখন ৮ বছর তখন একটি জাম গাছ থেকে পরে অসুস্থ ছিল চিকিৎসা করা হয়েছিল এবং কিছু দিন পরে আবার হাত, পা ও মেরুদণ্ডের ব্যাথায় হচ্ছিল। তিনি বলেন আমি ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতেও নিয়েছি কিন্তু আজকে কেন যেন সবার অজান্তে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
একই ইউনিয়নে পৃথক স্থানে দুইজনের আত্মহত্যা বিষয়
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, আমরা সকালে মৃত কৃষ্ণ রায়ের ওই বাসা থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই জানা যাচ্ছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। অপরদিকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা লিমন ইসলামের বাড়িতে পুলিশ পরিদর্শন করেছে, তদন্ত এবং চিকিৎসার কাগজ পত্র দেখা সাপেক্ষে দেখা যায় মৃত লিমন ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ ছিল। অসুস্থতার যন্ত্রণা কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছে নিহত লিমন ইসলামের পরিবার এবং লাশ দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
❝আপনি আপনার মতামত দিন, অবশ্যই ভালো রুচিশীল মন্তব্য করুন 🙂 ধন্যবাদ ❞