রুহিয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীর ট্যাব আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে

জাহাঙ্গীর আলম সম্পাদক, একুশে ট্রিবিউন (ঠাকুরগাঁও): 

ছবি: একুশে ট্রিবিউন 



ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ওই মাদরাসার দুজন মেধাবী শিক্ষার্থীর মোবাইল ট্যাব আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। 


অভিযোগে জানা যায়, রুহিয়া থানাধীন ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে অবস্থিত মধুপুর ঈদগাহ্ দাখিল মাদরাসা। ২০২৩ইং সালের কথা। ওই মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাসিনা এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমি আক্তার। দুজনেই বার্ষিক পরিক্ষায় মেধাতালিকায় ১ম স্থান অধিকার করায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে দুজনের নামে দুটি মোবাইল ট্যাব বরাদ্দ আসে। 


কিন্তু ওই মাদরাসার সুপার মোঃ রুহুল আমিন বিষয়টি গোপন রেখে ট্যাব দুটি আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ছয়মাস পর হাসিনার পরিবার টের পেয়ে মাদরাসার সুপারের নিকট ট্যাবটি চাইলে সুপার টালবাহানা শুরু করে। পরে অনেক বাকবিতন্ডার পরে হাসিনার ট্যাব টি ফেরৎ দিলেও সুমির ট্যাব টি সুপার তার ছেলেকে দেয়। 

দীর্ঘ দুই বছর সুপারের ছেলে সুমির নামে বরাদ্দ প্রাপ্ত ট্যাব টি ব্যবহার করে। ইতোমধ্যে সুমিও জানতে পারে তার নামে বরাদ্দকৃত ট্যাব টি মাদরাসা সুপারের ছেলে ব্যবহার করছে। বিষয়টি সুমির পরিবার সহ এলাকাবাসী টের পেয়ে মাদরাসা সুপার রুহুল আমিন কে অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখলে তিনি ট্যাব টি সুমির হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়। 


বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক এই প্রতিবেদক কে বলেন, আমাদের মাদরাসার সুপার চারটি নিয়োগ বাবদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা লোপাট করেছে। শেষ পর্যন্ত দুইটি মেধাবী ছাত্রীর ট্যাব এর লোভ সামলাতে পারেনি। আমরা ধিক্কার জানাই এরকম সুপার কে। 


মধুপুর ঈদগাহ্ দাখিল মাদরাসার ২০২৩ইং সালের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী বর্তমানে দাখিল পরীক্ষার্থী সুমি আক্তার বলেন, আমি অতিসম্প্রতি ট্যাব এর কথা জানতে পেরে আমার আব্বাকে জানাই। আব্বা কতিপয় প্রতিবেশিকে নিয়ে সুপারের কাছে গেলে প্রথমে সুপার ট্যাব টি দিতে চায় নি। 


পরে অনেক বাকবিতন্ডার পরে সুপার আমাকে ট্যাব টি দেয়। দুই বছর ব্যবহারের পর ট্যাব টি কেমন থাকতে পারে তা বিচারের দায়ভার আপনাদের উপরেই ছেড়ে দিলাম। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ছুটে যায় মধুপুর ঈদগাহ্ দাখিল মাদ্রাসা সুপারের নিকট। 


তার নিকট ট্যাব এর বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি বলতে রাজি হন নি। এছাড়া আপনার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মাদ্রাসায় নিয়োগে লেনদেন হয়েছে বিষয়টি 


আমি জানি, শুধু মাত্র জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মোঃ আলাউদ্দীন আল আজাদ কে আমি ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা দিয়েছি। আমি নিয়োগ বাবদ কোন টাকা গ্রহণ করিনি বিষয়টি তৎকালীন সভাপতি ভালো জানেন। এ বিষয়ে মাদ্রাসার এডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম এর নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 

বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


তারিখ: ০৪/০৫/২০২৫ইং

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.