দুমকি উপজেলায়, নিষিদ্ধ জালে অস্তিত্ব সংকটে দেশি মাছ ও জলজ প্রাণী।।

দুমকি উপজেলা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ জাকির হোসেন হাওলাদার। 

ছবি সংগৃহীত 



মাছে-ভাতে বাঙালি’—শতবর্ষ পুরোনো এই প্রবাদ শুধু বাঙালির খাদ্যাভ্যাস নয়, বরং তার সংস্কৃতি ও জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে সেই ঐতিহ্য এখন চরম হুমকির মুখে। পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার, আঙ্গারিয়ার খাল, মোল্লখালি খাল, 


বাদ্দার খাল, কচ্ছপিয়ার খাল, গাবতলির খাল, দাসপারা খাল, কদমতলার খাল, পিছাখালির খাল, জামলার খাল, কোহারজোর খাল, চরবয়ড়া ডাঙ্গার খাল, শিকদারের খালসহ অন্তত ২০ টি খালের ও বিলের দেশীয় মাছগুলা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল এবং চায়না রিং জালের অবাধ ব্যবহারে দেশীয় মাছগুলো দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার নতুন বাজার, পীরতলা বাজার, বোর্ড অফিস বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে দেশীয় মাছের সংকট এখন প্রকট। এই সংকটের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল এবং চায়না রিং জালের অবাধ ব্যবহার। বর্ষা শুরু হতেই এসব জালের মাধ্যমে ডিম ছাড়ার আগেই পোনা মাছ নির্বিচারে ধরা হচ্ছে, ফলে প্রাকৃতিক প্রজনন চক্র ভয়াবহভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, উপজেলার নতুন বাজার,পীরতলা বাজার, বোর্ড অফিস বাজার তালতলি বাজার রাজাখালি বাজার, হাজির হাট,আংগারিয়া বনদর, লেবুখালী হাট, তালুকদারহাট সহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে এসব নিষিদ্ধ জাল প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। এতে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নিয়ে।

একসময়ের পরিচিত দেশীয় মাছ যেমন—বোয়াল, গজার, শোল, মাগুর, শিং, কই, সরপুঁটি, পাবদা, আইড়, বাইম, খলসে, রিঠা, রঙিন বেতাগা, বাঁশপাতা, রয়না ও কালিবাউস আজ বিলুপ্তপ্রায়। এর মধ্যে রঙিন বেতাগা, পাবদা, বোয়াল, আইড়, বাঁশপাতা ও রয়না—এই জাতের মাছ তো একেবারে চোখেই না পড়ার মতো ।

বর্ষায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসাধু ব্যক্তি ও চক্রগুলো শুধু নিষিদ্ধ জালই নয়, বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করেও মাছ ধরছে। শুষ্ক মৌসুমে একাধিকবার পুকুর সেচে মাছ আহরণ এবং সরকারি খাল-বিল ব্যক্তিগতভাবে দখলের ফলে শুধু মাছ নয়, জলজ সাপ, ব্যাঙ, শামুক ও নানা জলজ প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হচ্ছে।

অন্যদিকে, কৃষিজমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, যা জলজ জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান চালোমান আছে। সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিষিদ্ধ জাল বিক্রির বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অভিযান পরিচালনার জন্য বলা হয়েছে।।# জাকির হোসেন হাওলাদার দুমকি প্রতিনিধি পটুয়াখালী মোবাইল নম্বর, ০১৭৩৯৪৮৮৫৭৪।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.