মাহমুদ আহসান হাবিব ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
![]() |
ছবি একুশে ট্রিবিউন |
অপছন্দের প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করানোয় গর্ভবতী এক নারীর চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আইরিস রহমানের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৯ আগস্ট) হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই রোগীর সঙ্গে এমন আচরণের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা।
ভুক্তভোগী প্রসূতি নারীর নাম সোহাগী আক্তার। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, অপছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি ল্যাব থেকে পরীক্ষা করানোর কারণেই তারা এ ধরনের অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুর্ভাগ্যবশত রাতেই গর্ভের সন্তান মারা যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা করাতে বলেন। তিনি বাইরে একটি ল্যাব থেকে পরীক্ষা করান, যা নিয়েই শুরু হয় বিপত্তি।
তিনি বলেন, “গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার পর স্ত্রী খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। রক্তক্ষরণ হওয়ায় রক্ত দেওয়া হচ্ছিল, স্যালাইনও চলছিল। শনিবার সকালে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মোছা. আইরিস রহমান রাউন্ডে এসে রোগীর ফাইলে দেখেন, হাসপাতালে না করে পাশের ‘নিউক্লিয়ার ল্যাব’ থেকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ‘কিয়ামত হলেও এই রোগীর এখানে কোনো চিকিৎসা হবে না।’ এরপর তিনি রক্তের লাইন ও স্যালাইনের ক্যানুলা টেনে খুলে ফেলেন।”
জাহাঙ্গীর আরও জানান, রাতে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকায় এবং বিকল্প না থাকায় বাইরে পরীক্ষা করাতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা, কিন্তু চিকিৎসক তা শোনেননি।
পাশের রোগী ও স্বজনরা জানান, “আমরা সবাই দেখেছি ডাক্তার এসে রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করে দেন, কারণ বাইরের রিপোর্ট। একজন চিকিৎসক এমনটা করতে পারেন, তা কল্পনার বাইরে।” তারা আরও বলেন, “এর আগেও তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বহু অভিযোগ ছাপা হয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থা না নেওয়ায় রোগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের মাত্রা বেড়েছে। তার বদলি ও শাস্তি জরুরি।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আইরিস রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন আনিছুর রহমান বলেন, “বিষয়টি দুঃখজনক। রোগীর স্বজনরা লিখিত অভিযোগ দিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
❝আপনি আপনার মতামত দিন, অবশ্যই ভালো রুচিশীল মন্তব্য করুন 🙂 ধন্যবাদ ❞