still attribute

⁠☞⁠ "একুশে ট্রিবিউন একটি অনলাইন বৃহৎতম পাঠক প্রিয়ো গনমাধ্যম প্রাথমিক ভাবে পরিক্ষা মূলক শাহাজাদ ইসলাম কর্তৃক চালু করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও-৫১০১ ঢাকা বাংলাদেশ"মোবাইল 📞+৮৮০১৭২১৪৪৭২৩০ ইমেইল☞⁠ sahajadislam2019@gmail.com

-->

ইতিহাসে কালের সাক্ষী রাজা টংকনাথের জমিদার বাড়ি

 সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃ



বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন তার মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকেল উপজেলার রাজা টংকনাথের জমিদার বাড়ি অন্যতম ইতিহাস থেকে জানা যায়, 

রাজা টংকনাথ এর পূর্ব-পুরুষদের কেউ জমিদার ছিলেন না । বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা সদর হতে ৭ কিমি পূর্বে কাটিহার নামক জায়গায় গোয়ালা বংশীয় নিঃসন্তান এক জমিদার বাস করতেন । উক্ত জমিদারের মন্দিরে সেবায়েত হিসাবে কাজ করতেন টংকনাথের পিতা বুদ্ধিনাথ । গোয়ালা জমিদার ভারত এর কাশি যাওয়ার সময় তাম্রপাতে দলিল করে যান যে, তিনি ফিরে না এলে মন্দিরের সেবায়েত বুদ্ধিনাথ জমিদারির মালিক হবেন । গোয়ালা জমিদার ফিরে না আসায় বুদ্ধিনাথ জমিদারির মালিক হন । তবে অনেকে মনে করেন এই ঘটনা বুদ্ধিনাথ দু-এক পুরুষ পূর্বেরও হতে পারে। জমিদার বুদ্ধিনাথের দ্বিতীয় ছেলে টংকনাথ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের আস্থা অর্জন করার জন্য মালদুয়ার স্টেট গঠন করেন । 

বিভিন্ন সময় সমাজ সেবা মূলক কাজের জন্য ১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার টংকনাথকে চৌধুরী উপাধিতে ভূষিত করেন। 

পরবর্তীতে দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজনাথ রায়ের বশ্যতা স্বীকার করে রাজা উপাধি পান।


পরে রাজা টংকনাথের স্ত্রী রাণী শংকরী দেবীর নামানুসারে মালদুয়ার স্টেটের নাম করণ করা হয় রাণীশংকৈল। দেশভাগের প্রাক্কালে রাজা জমিদারি ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমান । এর মধ্য দিয়ে মালদুয়ার স্টেট রাজা টংকনাথ চৌধুরীর জমিদারি পরম্পরার সমাপ্তি ঘটে। স্থানীয় বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব মোঃপিয়ার আলী জানান, রাজা টংকনাথের জমিদার বাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে বর্তমান নতুন প্রজন্মকে আরো উৎসাহিত ও উদ্দজীবিত করতে পারবে বলে আমি মনে করি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.