still attribute

⁠☞⁠ "একুশে ট্রিবিউন একটি অনলাইন বৃহৎতম পাঠক প্রিয়ো গনমাধ্যম প্রাথমিক ভাবে পরিক্ষা মূলক শাহাজাদ ইসলাম কর্তৃক চালু করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও-৫১০১ ঢাকা বাংলাদেশ"মোবাইল 📞+৮৮০১৭২১৪৪৭২৩০ ইমেইল☞⁠ sahajadislam2019@gmail.com

-->

সিন্ডিকেট কারসাজিতে ধানের নায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

মোঃ কুদরত আলী :





ঠাকুরগাঁওয়ে পাইকারি সিন্ডিকেটের জালে আটকে পড়ে সিন্ডিকেটের নির্ধারণ করা দামেই তিন মাস কষ্টার্জিত সোনালি ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা। ফলে ধানের নায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক।




ঠাকুরগাঁও  সদর উপজেলার আকচা, রাজাগাঁও, বড়গাঁও,কুজি শহর ও রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের   বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় । বাজারে সবতার (সবকিছুর) দাম বাড়ে, খালি ধানের দাম বাড়ে না। কৃষকের শ্রমের দাম নেই। এক মণ ধানের দাম ৯০০ টাকা তা আবার বাকিতে দিতে হচ্ছে । ধানের দামে আর জমির খরচ উঠে  না। ধানের দাম না বাড়ালে কৃষকের ক্ষতি ছাড়া লাভ নাই।’ এভাবেই আক্ষেপ করে ধানের দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন সদর উপজেলার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের সেনিহাড়ী তালতলী গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার, রুহিয়া ইউনিয়নের কুজি শহর এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ, ঢোলারহাট ইউনিয়নের সাজ্জাদ।  তাদের মতো ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সদর উপজেলার কৃষকরা।




খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছরে লক্ষমাত্রা ছিল  ২৫৫০০ হেক্টর জমি, আর অর্জন  হয়েছে ২৫৫৬০ হেক্টর জমি।

এ পর্যন্ত ধান কর্তন করা হয়েছে  ১৬৯০০ হেক্টর জমি ফলন ৪.৪৩ মেট্রিকটন ধান আবাদকৃত  জমির অর্ধেকেরও বেশি ধান কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায়।




আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে এলাকায়  শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  গিয়ে দেখা যায়, ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো ও গোলায় তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন  কিষান-কিষানিরা। ধান কাটাসহ বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করতে উৎপাদিত ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় পাইকার ও বেপারিদের কাছে প্রতি মণ ধান সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় পাইকারদের সিন্ডিকেটই ধানের এ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কৃষকরা নিরুপায় হয়ে তাদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করছেন। কৃষকরা জানান, পুরো এলাকায় এমন দামে ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা। 



পাইকারদের একটি সিন্ডিকেট ধানের দাম নির্ধারণ করছে। এতে ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তৃণমূল পর্যায়ের ধানের দাম নির্ধারণের দাবি কৃষকদের।  সদর উপজেলার আখানগর  ইউনিয়নের কৃষক মানিক  বলেন, এক বিঘা জমি চাষ করতে কৃষকের যে খরচ হয়, ধানের এমন কম দামে তা পোষায় না। পাইকাররা ইচ্ছে মতো ধানের দাম নির্ধারণ করেন। পাইকারদের সিন্ডিকেটের জালে  প্রান্তিক  কৃষকরা আটকে গেছেন। ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত আমরা। প্রতি মণ ধান ১০০০-১২০০ টাকা পেলে কৃষকরা লাভবান হতেন। 


আশা করব সরকার বিষয়টি দেখবেন।  উপজেলার  সেনিহাড়ী তালতলী এলাকার কৃষক আব্দুল জব্বার  বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ধানের সঠিক দাম নির্ধারণ করে দিলে কৃষকরা লাভবান হবেন। এখনই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন আমি  বর্গা  নিয়ে ধান চাষ করেছি তাতে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০-৩২ হাজার টাকা, আর এখন ধান বিক্রি করে সেই খরচ তুলতে কঠিন হয়ে গেছে। 




ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার আবুল বাশার জানান,  চলতি বছরে সারাদেশে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দেশে বরো ধানের ফলন বেশী হয়েছে এবং দেশের হাওর অঞ্চলেও এ বছর ফলন বেশী এজন্যই ধানের বর্তমান চাহিদা কিছুটা কম, আর বিশেষ করে জুন ক্লোজিং চলছে এজন্য আবার ব্যবসায়িরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে তবে জুলাই মাসে ধানের দাম বৃদ্ধি হতে পারে। 


তিনি আরও বলেন বাজারে যেন কোন সিন্ডিকেটের হাতে না যায় এজন্য আমরা মনিটরিং করছি, প্রয়োজনে ধানের বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করবে খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.