মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
![]() |
ছবি একুশে ট্রিবিউন |
২৫ জুন ২০২৫ খ্রি. ১৪.১৫ ঘটিকায় অফিসার ইনচার্জ বিরল থানা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পান যে, বিরল থানাধীন বানিয়াপাড়া রেলগেট সংলগ্ন ব্রিজে এক ব্যবসায়ীর ৩৪ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়েছে।
তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভিকটিম মোঃ মইনুল ইসলাম (৫৫) পিতা- মৃত খোরশেদ আলী, সাং- গোপালপুর, থানা- বিরল, জেলা- দিনাজপুর কান্না জড়িত কন্ঠে জানান যে, তিনি বাড়ি থেকে ২৬ লক্ষ টাকা এবং এনআরবিসি ব্যাংক বিরল শাখা হইতে ৮ লক্ষ টাকা
উত্তোলন করে সর্বমোট ৩৪ লক্ষ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ঋণ পরিশোধের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে স্টেশন রোড শাখা দিনাজপুরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বিরল থানাধীন বানিয়াপাড়া রেলগেট সংলগ্ন ব্রিজের নিকট পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার পথ রোধ করে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ৩৪ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার দিনাজপুর মহোদয় সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অতঃপর পুলিশ সুপার দিনাজপুর মহোদয়ের নেতৃত্বে তদন্ত টিম অর্থসংশ্লিষ্ট স্থান সমূহে নানা কৌশলে অনুসন্ধান করেন। অনুসন্ধানে তদন্ত টিম বুঝতে পারেন যে, মোঃ মইনুল ইসলাম ব্যবসা জনিত কারণে ব্যাংক সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিকভাবে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া বা ঋণ পরিশোধের সময় পাওয়ার আশায় কৌশলে টাকা ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছেন। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে তদন্ত টীম মোঃ মইনুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়ি তল্লাশি করার জন্য রওনা হলে তিনি ভুল স্বীকার করে তার টাকা ছিনতাইয়ের সাজানো নাটকের কথা স্বীকার করেন।
অতঃপর মোঃ মইনুল ইসলাম তার বাড়ি সংলগ্ন অফিস ঘর থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ, মোটরসাইকেলের চাবি ও ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত ৮ লক্ষ টাকা সহ মোট ১১ লক্ষ টাকা তদন্ত টিমের নিকট প্রদান করেন। নিরাপত্তা জনিত কারণে মোঃ মাইনুল ইসলামের ইচ্ছায় ১১ লক্ষ টাকা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মোঃ মাইনুল ইসলামের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সাজানো নাটক ছিল।
❝আপনি আপনার মতামত দিন, অবশ্যই ভালো রুচিশীল মন্তব্য করুন 🙂 ধন্যবাদ ❞