নেত্রকোণার আটপাড়ায় ক্লুলেস অটোরিকশা চালকের হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন,

 নিউজ ডেক্স:

প্রতীক ছবি 


 ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধার এবং সংশ্লিষ্ট ০৩ আসামীকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।


 

 গত ০৭ মার্চ ২০২৩ খ্রি তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় আটপাড়া থানাধীন শুনই ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামের জনৈক সুলতু মিয়ার ডোবা জমিতে অজ্ঞাতনামা লাশ দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন আটপাড়া থানা পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উক্ত লাশ উদ্ধার করে। উক্ত অজ্ঞাতনামা লাশের সংবাদ পেয়ে নিহত মোঃ কাইয়ুম (২৯), পিতাঃ মৃত আরব আলী, গ্রামঃ সুনদাইল, থানাঃ নান্দাইলের বড় ভাই সহ পরিবারের লোকজন থানায় এসে লাশ সনাক্ত করেন। পরে নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহজাহান(৩৬) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 


 চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, গত ০৫/০৩/২০২৩ খ্রি. তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকায় নিহত কাইয়ুম (২৯) অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ী হতে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে, মৃত কাইয়ুম (২৯) বাড়ী না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন খোজাঁখুজি শুরু করে। পরবর্তীতে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থেকে গত ০৯/০৩/২০২৩ খ্রি. তারিখ অনুমান ১৬০০ ঘটিকায় উক্ত হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোঃ বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে, সে সহ তদন্তের স্বার্থে নাম অপ্রকাশিত আরো ২/৩ জন আসামী ভিকটিম কাইয়ুম (২৯) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, মামলা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের স্বার্থে উক্ত অজ্ঞাতনামা আসামীদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। উক্ত অটোরিকশা মোঃ বাবুল মিয়াসহ আরো ২/৩জন আসামী ইয়াছিন মিয়া(২৯), পিতা- মোঃ নিজাম উদ্দিন, সাং ও থানা-ধর্মপাশা জেলা-সুনামগঞ্জের কাছে ৪০,০০০ টাকায় বিক্রি করেন। ইয়াসিন আবার এই অটোরিকশাটি আসামী মোঃ ফাজিল মিয়া(৩৫), পিতা-সুমন মিয়া, সাং-ভাটিলালপুর, থানা-জামালগঞ্জ, জেলা-সুনামগঞ্জের কাছে ৫৫,০০০/- টাকায় বিক্রি করেন। ফাজিল উক্ত অটোরিক্সা আসামী আমির হোসেন (৩৩), পিতা-মহাজ উদ্দিন, গ্রাম: চাঁনপুর, থানা-জামালগঞ্জ জেলা-সুনামগঞ্জের কাছে ৭০,০০০/- টাকায় বিক্রি করেন। আমির উক্ত অটোরিক্সা পুণরায় কিবরিয়া (৩২) এর নিকট ৭২,০০০/- টাকায় বিক্রি করেন। চাঞ্চল্যকর এই ক্লুলেস হত্যাকান্ডটির রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে র‌্যাব-১৪ এর চৌকস আভিযানিক দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৯০০ ঘটিকার সময় ধৃত আসামী মোঃ বাবুল মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থেকে মোঃ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন মিয়া(২৯)কে এবং একই জেলার জামালগঞ্জ থেকে মহাজ উদ্দিন এর ছেলে মোঃ আমির হোসেন (৩২) কে গ্রেফতার করে এবং আমির হোসেন এর তথ্য মতে একই উপজেলার কিবরিয়ার দোকান হতে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত মোঃ বাবুল মিয়া এবং ইয়াছিন এর নামে আরো অটোরিকশা চুরিসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে।


  গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। 


   গ্রেফতারকৃত আসামীদের নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পান করে ১২টি গরু-মহিষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এসময় কারখানার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের দুধকুমড়া ওয়ার্ডে গবাদি পশুগুলো মারা যায়।

প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বর্জ্য মিশে পানি বিষাক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ।  

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডিএপি’র বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা থাকলেও তা না করে সরাসরি খালে ফেলায় খালের পানি বিষাক্ত হয়ে যায়।

যা পান করে হরহামেশাই গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে ১৪টি এবং একই বছর এই কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত খালের পানি পান করে আরও ১২টি মহিষের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।

এদিকে ডিএপি সার কারখানার পক্ষ থেকে মৃত গরু-মহিষগুলোর মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করতে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে প্রাথমিকভাবে বর্জ্য মিশে পানি বিষাক্ত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.