still attribute

⁠☞⁠ "একুশে ট্রিবিউন একটি অনলাইন বৃহৎতম পাঠক প্রিয়ো গনমাধ্যম প্রাথমিক ভাবে পরিক্ষা মূলক শাহাজাদ ইসলাম কর্তৃক চালু করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও-৫১০১ ঢাকা বাংলাদেশ"মোবাইল 📞+৮৮০১৭২১৪৪৭২৩০ ইমেইল☞⁠ sahajadislam2019@gmail.com

-->

বাড়িভাড়া পরিশোধের টাকা নেই।৩০ হাজার টাকায় সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক শিশু বিক্রি করে দিলেন মা

 ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: 



বাড়িভাড়া পরিশোধের টাকা নেই। তাই মাত্র ৩০ হাজার টাকায় সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক শিশু বিক্রি করে দিলেন ঠাকুরগাঁও শহরস্থ গোয়ালপাড়ার শিল্পী বেগম। যদিও বিক্রিত অর্থের বড় অংশই নিয়ে গেছে দালাল চক্র।


টনাটি বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর’) ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে দেখাগেছে। শিল্পী বেগম গোয়ালপাড়া এলাকার রায়হানের স্ত্রী। বিক্রিকরা নবজাতক তার চতুর্থ সন্তান ও একটি ছেলে শিশু।


জানাগেছ, প্রায় ১২ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শিল্পীর সংসারে আরও ২ ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তবে চতুর্থ সন্তান পেটে আসার পরেই হঠাৎ বাড়ি ছেড়ে চলে যায় পিতা রায়হান। এরপর থেকেই অভাবের সংসার নিয়ে বিপাকে পরে যায় শিল্পী বেগম। সন্তান গর্ভে থাকার সময় থেকে বাড়ি ভাড়া ও পাশের দোকান মিলে প্রায় ৫ হাজার সাতশত টাকা বাকি হয় শিল্পীর। শিল্পীর অভাবের বিষয় জানতে পেরে গর্ভের সন্তান বিক্রির পরামর্শ দেয় দালাল চক্র। উপায়ন্তর ঋণের সেই অর্থ পরিশোধ করতেই নবজাতক শিশু বিক্রির সিদ্ধন্ত নেয় অভাবগ্রস্ত শিল্পী বেগম।


ইতিমধ্যে ষ্ট্যাম্পে নবজাতক কেনাবেচার বিষয় লেখালেখির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দালাল সেন্ডিকেটের মূল সদস্য হিসেবে কাজ করছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকার মিনি বেগম ও শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার মাহমুদা বেগম।


নবজাতক শিশুর ক্রেতা সেজে কথা হয় দালাল চক্রের সদস্য মিনি বেগমের সাথে। নবজাতক কেনা বেচার অভিজ্ঞতা তুলেধরে তিনি বলেন, আমি এই বছর ৫ টা শিশু কেনাবেচার কাজ করেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। আপনি চাইলে কমদামে আপনাকে একটা বাচ্চা ব্যবস্থা করে দিবো


মিনি আরও বলেন, তারা বেশকজন মিলে এই কাজগুলো করে থাকেন। বাজারে ছেলে শিশুর চাহিদা একটু বেশি। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় মেয়ে শিশু পাওয়া যায়। আর ছেলে শিশুর ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ হাজার খরচ করতে হয়।


নবজাতক শিশুর ক্রেতা জসিম জানান, আমার বিয়ের বয়স ১৫ বছর। এখনও কোনো সন্তান নেই। ডাক্তার বলেও দিয়েছে যে, আমি আর কখনও বাবা হতে পারবোনা। তাই এই বাচ্চাটা কিনতে চেয়েছি।


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বেলায়েত হোসেন জানান, কোনো নবজাতক শিশু ক্রয়বিক্রয় এর কোনো সুযোগ নেই। এটা অপরাধ, এমন কোনো ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.