still attribute

⁠☞⁠ "একুশে ট্রিবিউন একটি অনলাইন বৃহৎতম পাঠক প্রিয়ো গনমাধ্যম প্রাথমিক ভাবে পরিক্ষা মূলক শাহাজাদ ইসলাম কর্তৃক চালু করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও-৫১০১ ঢাকা বাংলাদেশ"মোবাইল 📞+৮৮০১৭২১৪৪৭২৩০ ইমেইল☞⁠ sahajadislam2019@gmail.com

-->

শীতের সময় ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে ত্বক ফাটা দাগ দূর করার নিয়ম

লাইফস্টাইল এক্সক্লুসিভ 

ছবি সংগৃহীত 


মসৃণ ত্বক আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং কনুইয়ের কালো দাগ এই সৌন্দর্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। নারীদের ক্ষেত্রে এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা। কনুই এবং হাঁটুর ত্বক এমনিতেই মোটা থাকে এবং এই অংশগুলোতে ভাঁজও সৃষ্টি হয় বেশি। 

কারণ ত্বকের এই অংশগুলোতে ঘর্মগ্রন্থি থাকেনা বলে শুষ্ক হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই সঠিকভাবে যদি যত্ন নেয়া না হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয় তাহলে কনুই এবং হাঁটুর ত্বক শরীরের অন্য অংশের চেয়ে বেশি কালো হয়ে যায়। অন্য যে কারণগুলোর জন্য কনুই ও হাঁটুর ত্বক কালো হয়ে যায় সেগুলো হল- ঘন ঘন ঘষা লাগা, সূর্যতাপ, জেনেটিক কারণ, শুষ্ক ত্বক, হরমোনের অসামঞ্জস্যতা, স্থূলতা, মরা চামড়া জমা এবং মেলানিন নামক রঞ্জকের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। অনেক ধরণের প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা ব্যবহার করে এবং সেই সাথে ত্বকের যত্নের কিছু কৌশল অবলম্বন করে এই সমস্যাটির সমাধান করা যায়। আজকের এই ফিচারে আমরা সেই বিষয়গুলো সম্পর্কেই জানবো।

১। নারিকেল তেল

কনুই ও হাঁটুর কালোদাগ দূর করার ভালো প্রতিকার হচ্ছে নারিকেল তেল। এতে ভিটামিন ই থাকে যা ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করার মাধ্যমে শুষ্কতা প্রতিরোধ করে এবং স্কিন টোন হালকা হতে সাহায্য করে। এটি ক্ষতিগ্রস্থ ও ডার্ক স্কিন মেরামতে সাহায্য করে। প্রতিবার গোসলের পরে কনুই ও হাঁটুতে নারিকেল তেল লাগিয়ে ১/২ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এছাড়াও ১ টেবিলচামুচ নারিকেল তেল ও আধা চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনার কনুই ও হাঁটুতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর পেপার দিয়ে টাওয়েল মুছে নিন। দিনে একবার এটি করুন।


। দই ও লেবুর রস

আই মিশ্রণটি ব্যবহারের পূর্বে একটি ব্রাশ দিয়ে কনুই ও হাঁটুর চামড়ার ময়লা ও ঘাম সরিয়ে নিন। একটি কাপে দই ও লেবুর রস মিশান এবং এর সাথে এক চামচ পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি আপনার কনুই ও হাঁটুতে লাগান এবং শুঁকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন প্রায় ১০-২০ মিনিট সময় লাগতে পারে। তারপর সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগান।

৩। বেকিং সোডা ও দুধ

বেকিং সোডা ও দুধ কনুইয়ের কালো দাগ কমতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে এবং দুধের ল্যাকটিক এসিড ত্বকের রঙ হালকা হতে সাহায্য করে। ২ টেবিলচামচ দুধের সাথে ১ টেবিলচামচ বেকিং সোডা মিশান। এই মিশ্রণটি কনুই ও হাঁটুতে লাগিয়ে বৃত্তাকারে ঘষুন এবং ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টিপস :

  •  গোসলের সময় মাজুনি বা ঝামা পাথর দিয়ে কনুই ও হাঁটুতে ঘষুন। খুব জোড়ে ঘষবেন না। কারণ এতে ত্বকে অতিরিক্ত কোষ উৎপন্ন হয় যার ফলে ওই স্থানগুলোর ত্বক আরো বেশি কালো হয়ে যেতে পারে। সপ্তাহে এক বা দুই দিন এই কাজটি করুন।
  •  ঘুমাতে যাওয়ার আগে, গোসলের পর, এবং বাহিরে যাওয়ার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শিয়া বাটার, জোজোবা অয়েল ও অলিভ অয়েল সমৃদ্ধ লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে পেট্রোলিয়াম জেলি বা অলিভ অয়েল লাগিয়ে মোজা পড়ে থাকুন। এজন্য সুতির মোজার সামনের অংশটি কেটে নিন তাহলেই এটি কনুই ও হাঁটুতে ব্যবহার করতে পারবেন।

  •  বাহিরে যাওয়ার পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন মেঘাচ্ছন্ন বা বৃষ্টির দিন হলেও।
  • – কনুই ও হটুর উপর ভর দিয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
  •  লেবু, টমেটো, আঙ্গুর ইত্যাদি ফলে ব্লিচিং উপাদান আছে। তাই এগুলোর জুস ব্যবহার করতে পারেন।

মুখের ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে 

নিম পাতা ব্যাবহার এর নিয়ম

বাড়িতে বানানোর জন্য উপটানের কয়েকটি প্রস্তুত প্রণালীঃ

ছবি সংগৃহীত 

উপকরণ সমুহ

(১) সাধারণ উপটানঃ

২ টেবিল চামচ বেসন

১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো

১/২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ দুধ

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ

সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি দিয়ে ফেস ওয়াশের মত করে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। ব্যবহারের ২-৩ দিনের মধ্যেই দেখবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে।

(২) ফর্সা, উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় ত্বকের জন্য উপটানঃ

উপকরণ-

৪ টেবিল চামচ বেসন

২ টেবিল চামচ দুধের গুঁড়ো

১ টেবিল চামচ তরল দুধ

২ টেবিল চামচ লেবুর রস

১ ১/২ টেবিল চামচ আমণ্ড গুঁড়ো

১/২ চায়ের চামচ হলুদ গুঁড়ো

কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল

কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ

সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালো করে মেশান ও ফেস প্যাক হিসেবে মুখে ও গলায় লাগান।লাগানোর সময় হালকা ভাবে মাসাজ করে নিন এবং প্যাকটি পরিষ্কার করার সময়ও আলতো করে মাসাজ করে তুলুন। এই উপটানটির নিয়মিত ব্যবহার আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল, মসৃণ ও লাবণ্যময়।

(৩) শুষ্ক ত্বকের জন্য উপটানঃ

উপকরণ-

২ টেবিল চামচ বেসন

১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো

১/২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ মধু

১ টি পাকা কলা

প্রয়োজনমত তরল দুধ

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ

সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করুন। এই উপটানটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এর আর্দ্রতা ও কোমলতা বজায় রাখবে।

(৪) তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপটানঃ

উপকরণ-

২ টেবিল চামচ বেসন

১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো

১/২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো

১ টি কমলার রস অথবা লেবুর রস

১/২ কাপ দই

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারঃ

সব কয়টি উপকরণ এক সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই উপটানের নিয়মত ব্যবহারে আপনার ত্বক হবে সুন্দর, মসৃণ, উজ্জ্বল আর এটি ত্বককে তেলতেলেও করবে না।

(৫) সমস্ত শরীরে ব্যবহারের জন্য উপটানঃ

উপকরণ-

৩ ১/২ টেবিল চামচ বেসন

১ চায়ের চামচ হলুদ গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ লেবুর রস

আধা কাপ তরল দুধ

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার-

সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই উপটানটি সাবানের পরিবর্তে প্রতিদিন সারা শরীরে ব্যবহার করুন। ত্বক পরিষ্কারের সাথে সাথে এই উপটানটি আপনার ত্বককে করবে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়।

এগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিন যে কোনও একটি উপটান এবং ব্যবহার করুন নিয়মিত। আপনার ত্বক উজ্জ্বল তো হবেই, চলে যাবে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব ও নির্জীবতা। আপনি বাড়িতে উপটান না বানাতে চাইলে বাজার থেকেও কিনে ব্যবহার করতে পারেন; তবে এ ক্ষেত্রে এর গুনগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। উপটান একটি আয়ুর্বেদিক সৌন্দর্য সমাধান বলে এতে নেই কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া- বিশেষ করে ঘরে তৈরি উপটান সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই আজই ভালো মানের উপটান বাজার থেকে কিনে আনুন অথবা ঘরে বসেই তৈরি করে ফেলুন রূপচর্চার প্রাচীন এই রূপ সামগ্রীটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.