still attribute

⁠☞⁠ "একুশে ট্রিবিউন একটি অনলাইন বৃহৎতম পাঠক প্রিয়ো গনমাধ্যম প্রাথমিক ভাবে পরিক্ষা মূলক শাহাজাদ ইসলাম কর্তৃক চালু করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও-৫১০১ ঢাকা বাংলাদেশ"মোবাইল 📞+৮৮০১৭২১৪৪৭২৩০ ইমেইল☞⁠ sahajadislam2019@gmail.com

-->

ঠাকুরগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১৪ প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত

মোঃফাহিম হোসাইন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

বিডিসি অনলাইন 


ঠাকুরগাঁও : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসন থেকে ১৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ৯ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে


ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সই করা বার্তাশিট বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।


বার্তাশিট থেকে দেখা যায়, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই জেলার তিনটি আসনে এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ১৪ জন। এদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ৫ জন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ৫ জন এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন দলীয় প্রতীকে ১০ জন ও ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।


নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ পেতে হবে। সে হিসাবে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জয়ী প্রার্থীর বিপরীতে সবাই তাদের জামানত হারিয়েছেন।



ঠাকুরগাঁও-১ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন, জামানত হরিয়েছেন ৪ জন। এই আসনে সর্বমোট বৈধ ভোট পড়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ৫৯৪টি। এর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির রেজাউর রাজি স্বপন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন, ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম মিনার প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৬ ভোট, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা আক্তার মোল্লা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৬৩ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকে মো. রাজিউল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ৯ ভোট।


ঠাকুরগাঁও-২ আসনের মোট প্রার্থী ৫ জন। এদের মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩ জনের। এখানে ১০৪টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে এক লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬টি। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মো. মাজহারুল ইসলাম এক লাখ ১৫ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা মো. আলী আসলাম জুয়েল ট্রাক প্রতীকে ৫৭ হাজার ২৩৫ ভোট পেয়ে জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন। তবে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মোছা. নুরুন নাহার বেগম এক হাজার ৯৮৬ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে মোছা. রিম্পা আকতার ৪২৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল কাদের সোফা প্রতীকে ৩ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে নিজেদের জামানত হারিয়েছেন।


ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। এই আসনের ২ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। মোট ১২৮ ভোটকেন্দ্রে বৈধ ভোট পড়েছে এক লাখ ৭৩ হাজার ৮২৭টি। এর মধ্যে এক লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন লঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট। তবে অপর দুই প্রার্থী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. আশা মনি এক হাজার ৬৮৩ ভোট ও বিকল্পধারার প্রার্থী খলিলুর রহমান সরকার কুলা প্রতীকে ৬০৯ ভোট পেয়ে নিজেদের জামানত হারিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.