গতকাল ২৩শে আগস্ট শনিবার, ঠিক দুপুর দুটোয়, ধর্মতলা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, তৃণমূল কংগ্রেস জয় হিন্দ বাহিনীর উদ্যোগে, এবং রাজ্য সভাপতি কার্তিক ব্যানার্জির পরিচালনায়, বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে এবং বাংলা ভাষার বঞ্চনার প্রতিবাদে, দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ধর্ণামঞ্চ, প্রতিবাদ কর্মসূচী চলবে ২৩ শে আগস্ট ও ২৪শে আগস্ট, প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
প্রতিবাদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ সুব্রত বক্সী, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণ সেনগুপ্ত, মন্ত্রী শশী পাঁজা, মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, কুনাল ঘোষ, সন্দীপ বক্সী, বৈশ্যানর চট্টোপাধ্যায়, স্বরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী স্বর্ণকমল সাহা, সুবীর ঘোষ, পার্থ ঘোষ, কুমার সাহা ,অসীম বোস, সব্যসাচী দত্ত ,জয়প্রকাশ সহ অন্যান্যরা।
সভার শুরুতেই সকল বক্তা, তৃণমূল কংগ্রেস জয় হিন্দ বাহিনীর রাজ্য সভাপতি কার্তিক ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই ধরনের একটি প্রতিবাদ ধর্ণামঞ্চ করার জন্য, ধন্যবাদ জানিয়েছেন যেভাবে জয় হিন্দ বাহিনী এত হাজার মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে এবং তার ডাকে আজ ধর্ণামঞ্চে সবাই উপস্থিত করেছেন, ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় কে , যিনি জয় হিন্দ বাহিনীর পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করছেন।।
জয় হিন্দ বাহিনী রাজ্য সভাপতি কার্তিক ব্যানার্জি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, সবাই তাহার ডাকে সাড়া দিয়ে এই ধর্ণা মঞ্চকে আলোকিত করার জন্য।
প্রতিবাদ মঞ্চে একে একে বক্তারা তীব্র ভাষাই ও তীব্রভাবে প্রতিবাদ করলেন বিজেপি সরকার আর এস এস এর বিরুদ্ধে , যেভাবে বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে , অত্যাচার নামিয়ে এনেছেন।এবং তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ,জেলে বন্দী করে রাখা হচ্ছে।,আজ তারই প্রতিবাদে জয় হিন্দ বাহিনী গর্জে উঠেছেন,
জয় হিন্দ গঠন করেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, দেশকে রক্ষা করার জন্য, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন জয় বাংলা, বাংলা ভাষা কি রক্ষা করা বাংলার মানুষকে রক্ষা করার জন্য, তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো আমরা এই মঞ্চ থেকে জয় বাংলাকে পৌঁছে দিতে চাই এলাকায় এলাকায় প্রতিটি বুথে বুথে,
যাহারা বাংলা ভাষার জন, যাহারা জন গণ মন সৃষ্টি করেছেন, যাদের বাংলা ভাষা পড়ে আমরা বড় হয়েছি, আর আমাদের পথ দেখিয়েছেন, বাংলা ভাষাকে বিজেপি সরকার পাল্টে দিতে চায়।, তা আমরা হতে দেব না, আমরা অভিষেক ব্যানার্জির দূত, উনি যেভাবে আমাদের পরামর্শ দেবেন আমরা সেই ভাবে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করবো।
শুধু তাই নয়, মঞ্চ থেকে তারা গর্জে উঠলেন, এবং বললেন আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়ে দিয়েছেন , যদি ভোটার লিস্ট থেকে একজনের ভোটার নাম কাটা যায়, তাহলে আমরা একলক্ষ মানুষ জড়ো হয়ে ইলেকশন কমিশন ঘেরাও করবো। তবুও বাংলাকে ভাগ হতে দেব না, বিজেপি সরকার হিন্দু-মুসলমানকে ভাগ করার চেষ্টা করছেন, বাঙ্গালীদের সাথে দ্বন্দ্ব বাজাতে চেয়েছেন, জে বাংলা ভাষা বাঙালির প্রাণ।
পায়ে মঞ্চ থেকে সবাইকে জানাতে চাই, বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে, বিজেপিকে মাথা তুলে না দাঁড় করাতে ঐক্যবদ্ধ হও, বিজেপি সরকারকে পশ্চিমবাংলায় মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না, এই বাংলা কবি রবীন্দ্রনাথের বাংলা, এই বাংলা রামমোহনের বাংলা, বাংলার নজরুলের বাংলা, এই বাংলা নেতাজী সুভাষের বাংলা, তাই বাংলাকে রক্ষা করায় আমাদের দায়িত্ব,
শুধু বাংলা ভাষা নিয়ে প্রতিবাদ নয়, আগামীকাল যে মেট্রোরেলের সম্প্রসারণ হয়েছিল, সেই উদ্বোধনকে সামনে রেখে , মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান তুলে ধরলেন, যিনি হাজার ১৯৮৪ সালে মেট্রো রেলের ওপেনিং করেছিলেন, ২০০৯ সালে সেই মেট্রোরেলের সম্প্রসারণ হয়, যিনি জম্মু-কাশ্মীরে রেল চলাচল, এমনকি বাংলাদেশও রেলের সম্প্রসারণ করেছিলেন,
যিনি সেই সময় রেলের কর্মচারীদের কথা ভাবতেন যাদের মাইনে খুব সামান্য ছিল, যারা সেই পয়সায় কোথাও ঘুরতে যেতে পারত না, ওদের জন্য তিনি একটি এসি পাস ব্যবস্থা করেছিলেন, এমনকি যিনি ১০০ দিনের টাকা তোমার হাতে তুলে দিয়েছেন আবাসনের টাকা তুলে দিয়েছেন, এই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কথা ভাবেন, বাংলার মানুষের ভাষার কথা ভাবেন, এতদিন তিনি থাকবেন আমরা বাংলাকে ভাগ হতে দেব না বাংলা ভাষাকে পরিবর্তন করতে দেব না, দেখবো কি করে বাংলা ভাষাকে বিজেপি সরকার পরিবর্তন করতে পারে, বিভিন্নভাবে আইন প্রয়োগ করে একদিকে যেমন বাংলা ভাষাকে পরিবর্তন করতে চাইছে অন্যদিকে পশ্চিমবাংলাকে জব্দ করতে চাইছে। তাই সমস্ত পাওনা টাকা আটকে, জব্দ করছেন, কিন্তু তবুও পারবেন না পশ্চিমবাংলাকে আটকে রাখতে ও জব্দ করতে , বাংলার মানুষ বিচার করবে কাকে চায়, আর আমরা ভোটার লিস্ট থেকেও একজনের নাম বাদ দিতে দেব না।
বাংলার মাটি বাংলার জল, পূর্ণ হোক পূর্ণ হোক হে ভগবান, বাংলা কে আমরা রক্ষা করব, তাই আজ ও কাল কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হবে এই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা ,পশ্চিমবঙ্গ
❝আপনি আপনার মতামত দিন, অবশ্যই ভালো রুচিশীল মন্তব্য করুন 🙂 ধন্যবাদ ❞